শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
তাক লাগিয়ে বাড়ছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি

তাক লাগিয়ে বাড়ছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি

মতিহার বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই উন্নয়নের রোল মডেল। ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে এ দেশের অর্থনীতি। একটি দেশ উন্নয়নের কোন স্তরে রয়েছে তার চিত্র ফুটে ওঠে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) থেকে। এবার দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ । বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ সালে এই প্রবৃদ্ধির হারকে ডবল ডিজিটে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বে সবার ওপরে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ এই দশ বছরের বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শতকরা ১৮৮ ভাগ। সেই সাথে বাংলাদেশ এখন এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারে গত দুই যুগে সিঙ্গাপুর ও হংকংকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ এই অবস্থানে উঠল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) বিবেচনা করে প্রতিটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কত হয়েছে, সেই হিসাব করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সেই হিসাবে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মোট ৭০ হাজার ৪১৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টি হয়েছে। এডিবির ‘কি ইনডিকেটরস ফর এশিয়া এ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই চিত্র উঠে এসেছে। ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) অনুসারে হিসাব করলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক সক্ষমতার তুলনামূলক প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ইতিবাচক বার্তা দেবে। সেই বার্তা হলো বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে, সামষ্টিক অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থায় আছে, বিনিয়োগের সুযোগও বাড়ছে।’ এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সালে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল সিঙ্গাপুর। ওই বছর বাংলাদেশে মাত্র ১৫ হাজার ১৮০ কোটি ডলারের পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সিঙ্গাপুরে সৃষ্টি হয়েছিল ১৬ হাজার ৭১৮ কোটি ডলারের পণ্য উৎপাদন ও সেবা। এরপর বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। পরের ১০ বছরেই সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ।

২০১০ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৪০৫ কোটি ডলার। ওই বছরই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে সিঙ্গাপুর। তখন সিঙ্গাপুরে পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৩৩২ কোটি ডলার। এরপর বাংলাদেশের শুধু এগিয়ে যাওয়ার গল্প। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশ বেশি।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply